প্রকাশিত: Wed, Nov 29, 2023 1:49 PM
আপডেট: Sun, Jun 29, 2025 2:49 AM

[১]ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইনের নীতিগত অনুমোদন নির্বাচনকালীন সরকার করতে পারে কি না, প্রশ্ন রেখেছে টিআইবি

এম এম লিংকন: [২] ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বলছে, এই আইনের সুদূরপ্রসারী প্রভাব অস্বীকার করার সুযোগ নেই। বেশ কিছুদিন ধরে ধাপে ধাপে অংশীজনদের সম্পৃক্ত করে একটি গ্রহণযোগ্য আইন প্রণয়নের প্রচেষ্টা চলছে। এর মধ্যেই খসড়াটি মন্ত্রিসভার অনুমোদন পাওয়ার প্রক্রিয়া ও উদ্দেশ্য প্রশ্নবিদ্ধ বলেও মনে করছে টিআইবি।

[৩] মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে টিআইবি এ কথা বলেন। 

[৪] বিবৃতিতে টিআইবি জানায়, আলোচ্য আইনের খসড়াতে টিআইবিসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনের পরামর্শের ভিত্তিতে কয়েক ধাপে বেশকিছু ইতিবাচক সংশোধনী আনা হয়েছে। তবে তড়িঘড়ি করে অংশীজনদের সম্পৃক্ত করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার আগেই প্রশ্নবিদ্ধভাবে মন্ত্রিসভার নীতিগত অনুমোদনের মাধ্যমে ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইনের মতো একটি জনগুরুত্বসম্পন্ন-বিষয়ক আইনকে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতার আলোকে বাস্তবসম্মত আইনের পর্যায়ে নিয়ে আসার প্রক্রিয়াকে সচেতনভাবে বন্ধ করে দেওয়া হলো। 

[৫] টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ব্যক্তি উপাত্তের সুরক্ষা নিশ্চিত করার দায়িত্ব পাওয়া বোর্ডকে সরকারের নিয়ন্ত্রণে রাখা চরম স্ববিরোধিতা। কারণ এই বোর্ড তখনই যথাযথভাবে কাজ করতে পারবে, যখন তা সরকারের উপাত্ত প্রক্রিয়া কার্যক্রমের ওপর নজরদারি করতে পারবে। পাশাপাশি জনগণের তথ্যে সরকার বা সরকার সংশ্লিষ্ট ক্ষমতাবানদের যে যথেচ্ছ প্রবেশাধিকার থাকবে না সেটাও এই বোর্ডকে নিশ্চিত করতে হবে। যার এখতিয়ার সরকার নিয়ন্ত্রণাধীন বোর্ডের থাকবে- এমন প্রত্যাশা অবান্তর। এই একটা উদাহরণ থেকেই বলা যায় যে খসড়াটিতে মৌলিক দুর্বলতা রয়ে গেছে।

[৬] আমাদের আরও একটি বড় আপত্তির জায়গা ছিল অতিমাত্রায় বিধিনির্ভরতা, যা আইনটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তার পাশাপাশি নির্বাহী বিভাগের হস্তক্ষেপের আশঙ্কাকেও জোরদার করে। নির্বাচনকালীন সরকার তার কার্যক্রম দৈনন্দিন কাজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখবে এবং নীতি সিদ্ধান্তের বিষয়গুলো পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের জন্য তুলে রাখা হবে- এই নিয়মের ব্যত্যয় করে নেওয়া মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত সুবিবেচনাপ্রসূত কি না- সেই প্রশ্ন তোলা অবান্তর হবে না।

[৭] টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, আমরা আশা করি নীতিগত অনুমোদন পাওয়া এই খসড়াটি চূড়ান্ত করার পরের সব কার্যক্রম সরকার স্থগিত করবে। নির্বাচন পরবর্তী সরকার অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে একটি গ্রহণযোগ্য খসড়া প্রস্তুত করে এই প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেবে। সম্পাদনা : সমর চক্রবর্তী